অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক: বক্তৃতা আর ভাষণের লম্বা সিরিয়ালের ইতি টেনে দিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান শুরুর কথা দুপুর ১২টায়, ঘড়ির কাঁটা যখন সোয়া ১২টায় চলে গেছে তিনি তখন খোদ অর্থমন্ত্রীকে এসে ঘড়ি দেখিয়ে বললেন- ‘চলেন আমরা শুরু করি। আপনার দু’দিন পরেই বাজেট। এখন সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
হোটেল রেডিসনে তখন সিলেটের একটি সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ চুক্তি হবে। অনুষ্ঠানে সিলেটের এমপি ও রাজনৈতিক নেতাদের বেশ ভিড়।
কিন্তু ওবায়দুল কাদের মঞ্চে নিয়ে গেলেন শুধু তাদের যাদেরকে দরকার। দর্শকের গ্যালারিতে তখন বাকিরা। এদিকে মঞ্চে কেউই বক্তব্য দেননি। খোদ ওবায়দুল কাদের নিজেই বলে দিলেন আমিও বক্তব্য দেব না। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও মঞ্চে আসন নিয়েছেন, কিন্তু বক্তব্য দেন নি।
যে অনুষ্ঠানে তিনজন মন্ত্রী, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী স্থায়ী প্রতিনিধি, একজন সাবেক ও বর্তমান এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অনেক নেতা উপস্থিত। কেউই বক্তব্যে নেই।
এ যেন পুরোপুরি এক ব্যতিক্রম ঘটনা। এভাবে মাত্র একঘণ্টায় শেষ হলো পুরো অনুষ্ঠান ও চুক্তি স্বাক্ষর।
বক্তব্য শুধু একজনই দিয়েছেন তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ওবায়দুল কাদেরের এমন ঘটনা পছন্দ করলেন মন্ত্রী মুহিত নিজেও। বিজ্ঞ এই রাজনৈতিকের মুখেও শুরুতেই যেন প্রশংসা ওবায়দুল কাদের ঘিরে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ওবায়দুল কাদের রাস্তার মন্ত্রী। তাকে আসলে সব সময় রাস্তায়ই দেখা যায়।
অনুষ্ঠান শেষে আগতদের অনেকেই ভাষণ যুগের ইতি টানায় বেশ প্রশংসা করেন । ৪৪১.৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি মহাসড়ক নির্মাণ কাজের অনুষ্ঠান শেষ হলো একজনের বক্তব্য দিয়ে। অথচ এমন অনুষ্ঠানে বক্তব্যর লম্বা লাইনে কেউ কেউ বিরক্ত আবার কেউ ঘুমিয়ে পড়তেন।
৩১ দশমিক ৭৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক ৩৪ মাস শেষে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে। চুক্তি সাক্ষর করা হয় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ ও স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের সাথে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে সিলেট কোম্পানীগঞ্জ ভোলাগঞ্জ জেলা সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।